এবিএনএ: চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছেন এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এডিবি কার্যালয়ে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৯ আপডেট প্রতিবেদন প্রকাশকালে তিনি এই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এডিবি মনে করছে শিল্পখাতের উন্নয়নের ফলে এ প্রবৃদ্ধি হবে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস সেক্টরে পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ১০ শতাংশের উপরে জিডিপি অর্জন করেছে। এছাড়া এখানকার অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে যার ফলে বাংলাদেশে ব্যাপক পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর জিডিপি অর্জনে নিচের দিকে থাকলেও বাংলাদেশ সব সেক্টরে ভালো করায় বাংলাদেশের অবস্থান উপরের দিকে আছে।’ তবে এটা ধরে রাখা হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি। মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন রপ্তানি বহুমুখীকরণ, শহর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা ইত্যাদি।
দুর্নীতি বিরোধী চলমান অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘সুশাসনের জন্য এটা খুবই ফলপ্রসু হবে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। তবে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে এজন্য অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে রাস্তা, বন্দর এবং পদ্মাসেতুসহ বড় প্রকল্পগুলো এবং ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেগুলো যথাসময়ে শেষ করতে হবে। সেই সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, আর্থিক খাতের উন্নয়ন ও ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশি ও অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত মূল এশিয়ান ডেভলপমেন্ট আউট লুকে বলা হয়েছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৪ শতাংশ, যা মূল প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। আর বাংলাদেশের মূল প্রতিবেদনের পূর্বাভাসেও বলা হয়েছিল এবছর প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশ, যা হালনাগাদ প্রতিবেদনে একই রয়েছে।